বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে পালাতে সহযোগিতা করেছেন যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা—এমন অভিযোগ করেছেন যুবদলের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনি। মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে এসে তিনি দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্তের দাবি জানান।
১৭ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে এসকেন্দার আলী জনিকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ফেসবুক লাইভে তিনি অভিযোগ করেন, যশোর ক্যান্টনমেন্টে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে পালাতে সহায়তা করেন আনসারুল হক রানা। পাশাপাশি, সিঙ্গাপুরে গোল্ড নাসিরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের কথাও উল্লেখ করেন।
এসকেন্দার আলী জনি আরও দাবি করেন, আনসারুল হক রানা এবং যুবদলের সভাপতি তমাল আহমেদ দলকে যুবলীগের মতো কার্যক্রমে যুক্ত করেছেন এবং বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত। এদিকে আনসারুল হক রানা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন এবং হাস্যকর বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “এসব অভিযোগের সত্যতা থাকলে এতদিনে গ্রেপ্তার হতাম। জনি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথা বলছে।”
যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি তমাল আহমেদ অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, “জনি নেশাগ্রস্ত এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বক্তব্য গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।”
উল্লেখ্য, এসকেন্দার আলী জনি তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে জেলা যুবদল নেতারা তার অভিযোগগুলো সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন।

