গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনের একটি গোপন কক্ষে প্রায় ১২ ঘণ্টা আত্মগোপনে ছিলেন। ঐদিন রাতে সেনাবাহিনী তাকে উদ্ধার করে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যায়। এক জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই ঘটনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ আগস্ট দুপুরে সংসদ ভবনের বাংকারে আশ্রয় নিয়েছিলেন সাবেক স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারসহ কয়েকজন সংসদীয় কর্মকর্তা। গণঅভ্যুত্থানের উত্তাল সময় লাখো ছাত্র-জনতা সংসদ ভবনের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। জনতার উত্তেজনা থেকে রক্ষা পেতে স্পিকারকে তার আবাসিক বাংলো থেকে সরিয়ে আনা হয় সংসদ ভবনের গোপন কক্ষে।
জানা যায়, দুপুর ৩টার দিকে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও নাজমা আকতারসহ অনেকে একত্রিত হন। প্রথমে তারা বাংকারে আশ্রয় নেন, কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে ছয়তলার একটি গোপন কক্ষে স্থানান্তর করা হয় তাদের।
ঐদিন সন্ধ্যা নাগাদ লাখো ছাত্র-জনতা সংসদ ভবনের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা মূল এসেম্বলি কক্ষে, স্পিকারের কক্ষে, এবং অন্যান্য স্থানে প্রবেশ করে। স্পিকারের আসন থেকে শুরু করে এমপিদের নির্ধারিত আসনে বসে তারা বিপ্লবের আবেগে মেতে ওঠে।
৫ আগস্ট দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সংসদের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর সেনাবাহিনীর একটি দল এসে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে নিরাপদে ক্যান্টনমেন্টে সরিয়ে নেয়। এসময় তার সঙ্গে থাকা অন্যান্যরা ভিন্ন কৌশলে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গণঅভ্যুত্থানের এই ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। জনগণের দখলে থাকা সংসদ ভবন সেই দিন ছিল বিপ্লবের প্রতীক।