চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় ক্যা*ন্সারে আ*ক্রান্ত এক মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ সরদার গলায় ফাঁ*স দিয়ে আ*ত্মহ*ত্যা করেছেন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার আগে নিজের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে তিনি সন্তানদের উদ্দেশে আবেগঘন চিরকুট লিখে রেখে গেছেন।
নিহত আবু সাইদ সরদার দুই ছেলে ইমন ও সায়মন এবং এক মেয়ে পায়েলের জনক। তিনি তার ছোট ছেলে ইমনের পরিবারের সঙ্গে বাস করতেন। পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বায়েজিদ মিয়া জানান, খবর পেয়ে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ভাড়া বাসার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লা*শ উদ্ধার করা হয়। কক্ষ থেকে ছয়টি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে, যা তার দুই ছেলে, এক মেয়ে, এবং নাতির উদ্দেশ্যে লেখা।
সু*ইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, ক্যা*ন্সারের চিকিৎসা ও দীর্ঘ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তিনি আ*ত্মহ*ত্যার সিদ্ধান্ত নেন। সন্তান ও পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, “এ রোগের কোনো চিকিৎসা আছে বলে মনে হয় না। ক্যা*ন্সার, মুখের ঘা ও যন্ত্রণা আর সহ্য হচ্ছে না।”
মেয়ে পায়েলকে লেখা নোটে তিনি তার শারীরিক কষ্টের কথা উল্লেখ করেন এবং নিজের মৃত্যুর পর নগরীর চৌমুহনী কবরস্থানে মায়ের পাশে তাকে দাফন করার অনুরোধ করেন।
পুলিশের ধারণা, মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ সরদার দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন এবং ভেবে-চিন্তে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এসআই বায়েজিদ মিয়া জানান, তিনি ১৩ ডিসেম্বরও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, তবে সেটি সম্ভব হয়নি।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ সরদার তার ছোট ছেলের পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে করাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।
এই ঘটনার পর মুক্তিযোদ্ধার ত্যাগ ও যন্ত্রণার প্রতি শোক এবং শ্রদ্ধা জানিয়ে তার আত্মহত্যার কারণ ও পারিবারিক পরিস্থিতি নিয়ে সমাজে আলোচনা শুরু হয়েছে।