ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে পাচারের শিকার এক কিশোরীকে ভারতীয় পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মহেশপুর সীমান্তের কুমিল্লাপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় তিন বাংলাদেশি মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়।
উদ্ধার হওয়া কিশোরীর বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলায়। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান (৩১), রুবেল (৩২), এবং হৃদয় হোসেন (২৯)।
বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিকেল ৫টার দিকে সীমান্ত পিলার ৬০/৪৭ এর কাছে ভারত থেকে ৭-৮ জনের একটি পাচারকারী দল বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে। বিজিবি টহলদল তাদের ধাওয়া করলে কয়েকজন পাচারকারী ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। বিজিবি ধাওয়া করে কিশোরীসহ চারজনকে আটক করে।
এ সময় ৩-৪ জন ভারতীয় পাচারকারী ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিজিবি সদস্যদের আক্রমণের চেষ্টা চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে, এতে ভারতীয় দালালরা পালিয়ে যায়।
বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার হওয়া কিশোরী জানায়, ভালো কাজের প্রলোভনে তাকে টিকটক ভিডিও শুটিংয়ের নামে ভারতের কোলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে আরও কয়েকজন বাংলাদেশি কিশোরীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে সে জানতে পারে, তাদের সবাইকে মুম্বাইতে পাচার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মুম্বাই যেতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
অসুস্থ অবস্থায় তার অভিভাবকের সঙ্গে ভারতীয় পাচারকারীরা যোগাযোগ করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার পর কিশোরীকে মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
বিজিবি জানিয়েছে, এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় মামলা দায়ের করা হবে। মানবপাচার প্রতিরোধে বিজিবি তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।