অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বৃহস্পতিবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিতব্য ১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মিশর যাচ্ছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, ড. ইউনূস বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে কায়রোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি ড. ইউনূসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর প্রস্তুতি চলছে।
কায়রোতে এ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ডি-৮ কমিশনের ৪৮তম বৈঠক ডি-৮ সহযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ১৮ ডিসেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলের ২১তম অধিবেশন এবং ১৯ ডিসেম্বর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এসব বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে।
ডি-৮, বা ডেভেলপিং-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন, বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত।
এই সম্মেলনে ড. ইউনূসের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি উপস্থিত থাকবেন।
১৯৯৭ সালে ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ডি-৮ সংস্থার এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘ইনভেস্টিং ইন ইয়ুথ অ্যান্ড সাপোর্টিং স্মল মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ, শেপিং টুমরো’স ইকোনমি।’ এই প্রতিপাদ্য ভবিষ্যৎ অর্থনীতি গঠনে যুব এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ভূমিকা তুলে ধরে।
এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া ২০২৬-২০২৭ মেয়াদের জন্য বর্তমান চেয়ার মিশরের কাছ থেকে ডি-৮ সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
ডি-৮ সম্মেলনে ফিলিস্তিন পরিস্থিতি, বিশেষ করে গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সংস্থাটির ভূমিকা গুরুত্ব পাবে।