রংপুরের মিঠাপুকুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দের নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সহকারী মো. রায়হান মিয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, রায়হান ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে দুই দফায় ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
মিঠাপুকুর উপজেলার বাতাসন লতিবপুর গ্রামের বিধবা কহিনুর বেগম এবং তার ছেলের স্ত্রী বানেছা বেগম গত বছর ঘর বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন। দীর্ঘদিন পর অফিস সহকারী রায়হান তাদের ফোন দিয়ে আবেদন খরচের কথা বলে প্রথমে ৫ হাজার টাকা এবং পরে ঘর বরাদ্দের নাম করে আরও ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেন।
রায়হান মিয়া স্বীকার করেছেন যে তিনি ঘুষ নিয়েছেন। তার বক্তব্য, “মহিলারা খুশি হয়ে চা খাওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল। তবে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা একটি ঘরের জন্য ৩০-৪০ হাজার টাকা নিচ্ছে। আমি তো তার তুলনায় কম নিয়েছি।”
অন্যদিকে, কহিনুর বেগম ঘর বরাদ্দ পেলেও স্থানীয়দের দখলের কারণে ঘরে উঠতে পারেননি। সুদে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে গিয়ে চাপে পড়ে তিনি স্থানীয় এক নেতার মাধ্যমে ১৩ হাজার টাকা ফেরত পান। বাকি ১২ হাজার টাকার জন্য এখনও চেষ্টা করছেন।
মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ জানান, “আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রায়হানের বিরুদ্ধে এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ জমা হয়নি বলে জানা গেছে।