রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ কর্মী স্ত্রী বীণা মজুমদারকে তালাক দিতে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের ওপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তাদের কথামতো তালাক দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মিজানুর রহমানকে মারধর করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার হাজরাপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী বীণা মজুমদার মহানগরীর হাজরাপুকুর মহল্লার বাসিন্দা। বীণা মজুমদার একজন গৃহিণী এবং শাহমখদুম থানা আওয়ামী লীগের কর্মী। তিনি ২০১৩ ও ২০২৩ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছিলেন, তবে দুবারই পরাজিত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদলের সাবেক নেতা মো. সনির নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী শনিবার সন্ধ্যায় মিজানুর রহমানকে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার না করেই ফিরে যায়।
মিজানুর রহমান বলেন, “আমি রাস্তায় হাঁটছিলাম। এ সময় সনি ও তার সঙ্গীরা বলে, ‘তুই যদি তোর বউকে তালাক না দিস, তাহলে খবর আছে।’ আমি এর কারণ জানতে চাইলে ওরা গালিগালাজ করে এবং আমাকে মারধর শুরু করে।”
তার স্ত্রী বীণা মজুমদার জানান, কিছুদিন আগে ফেসবুকে বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জয় বাংলা’ লিখে একটি পোস্ট দেওয়ার পর যুবদলের সাবেক নেতা সনি তাকে ফোন দিয়ে পোস্ট না করার হুমকি দেন। তিনি বলেন, “এ কারণে আমার স্বামীকে তালাক দিতে চাপ দিচ্ছে। এটা কী ধরনের আচরণ? দল আর সংসারের সম্পর্ক কী? আমরা আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তা চাই।”
অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা মো. সনি বলেন, “বীণা মজুমদার ফেসবুকে আওয়ামী লীগের পক্ষে পোস্ট দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এ নিয়ে তার স্বামীকে বলেছি। সে তর্ক করায় কয়েকজন ছেলে তাকে দু-একটা কিল-ঘুষি দিয়েছে। আমরা বিষয়টি মীমাংসা করেছি। তবে তালাকের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
চন্দ্রিমা থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, “এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”