সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নে কোনো দেশ এগিয়ে আসছে না। তাঁর সম্ভাব্য আশ্রয় নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত কেউই রাজি হয়নি। এমনকি ভারতও তাঁকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল।
তবে ফিনল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ও সংযুক্ত আরব আমিরাত—সব দেশই তাঁকে আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ফলে শেখ হাসিনাকে আপাতত ভারতের মাটিতেই থাকতে হচ্ছে। কিন্তু এই অবস্থান নিয়েও ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ওয়াশিংটন জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা ভারতে কী ধরনের স্ট্যাটাসে অবস্থান করছেন।
ঢাকার পক্ষ থেকেও চাপ রয়েছে। বাংলাদেশের দাবি, শেখ হাসিনা যেন ভারতের ভেতর থেকে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য না দেন। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ঢাকা এই দাবি জানিয়ে আসছে। তবুও ৮ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে একটি ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা। পরদিন, ৯ ডিসেম্বর, ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।
দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ঢাকা এই বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তারা সাফ জানায়, ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
শেষ পর্যন্ত, বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিক্রম মিশ্রি জানান, ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের সমালোচনাকে সমর্থন করা হবে না। তিনি এটিকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য “ক্ষুদ্র বা তুচ্ছ বিষয়” বলে অভিহিত করেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করছে। তাঁর প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনীহা এবং ভারতের নীরব অবস্থান ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, শেখ হাসিনার পৃথিবী ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে।