আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) জানিয়েছে, বহিষ্কৃত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের কোনো কর্মকাণ্ড বা বক্তব্যের দায় সংগঠন বহন করবে না। তার কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বলে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।
চারু চন্দ্র দাস বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঘিরে ভারতের মন্তব্য বা অবস্থানের সঙ্গে ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো দেশের কোনো ব্যক্তি চিন্ময়কে নিয়ে কী উদ্যোগ নিলো বা কী বলল… সে জন্য ইসকন দায়ী নয়।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম আইনজীবী হত্যায় ইসকনকে অন্যায়ভাবে জড়িয়ে মিথ্যাচার চলছে। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ইসকন দায়ী নয়। শিশুর সঙ্গে খারাপ কাজসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য অনেক আগেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে গত ৩১ অক্টোবর বিএনপি নেতা (পরে বহিষ্কৃত) ফিরোজ খান কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন, যেখানে চিন্ময়সহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ের একটি স্তম্ভে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
ইসকনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ঘটনাকে ঘিরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রসঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস একটি ভিডিও বিবৃতিতে দাবি করেন যে, এটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা। তিনি আরও জানান, এই আন্দোলন কোনোভাবেই সরকার বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়, বরং সনাতনীদের ওপর চালানো হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে।
ইসকন পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এ বিষয়ে সংগঠন কোনো দায় নেবে না।