বিনাসুদে ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সারা দেশ থেকে গাড়িতে গাড়িতে লোক আনা হয় ঢাকায়। লক্ষ্য ছিল শাহবাগে বড় জমায়েত। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিশৃৃঙ্খলা তৈরি করা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গাড়িতে করে ঢাকায় আনা হয় এবং তাদের বলা হয়, শাহবাগে ঋণসংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চলছিল, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
এ ঘটনার পেছনে ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন ছিল, যার আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমিন। রাজনীতির বিভিন্ন মঞ্চে সক্রিয় এই ব্যক্তি এক এগারোর সময়েও বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিলেন। এর আগে তিনি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের নামে কর্মসূচি পালন করেছেন এবং পুস্তিকা ছড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। জানা গেছে, ঢাকার বাইরে থেকে আসা লোকদের জানানো হয়েছিল যে, তারা একটি ফরম পূরণ করে বিনাসুদে এক লাখ টাকা ঋণ পাবেন। অংশগ্রহণকারীদের এক হাজার টাকা, যাতায়াত খরচ ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
মোস্তফা আমিন ফরওয়ার্ড পার্টি নামক একটি রাজনৈতিক দলেরও আহ্বায়ক এবং কিছুদিন ধরে ঢাকায় বড় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শাহবাগে সমাবেশের জন্য পুলিশের অনুমতি চাইলেও তা প্রত্যাখ্যান হয়। এরপরও তিনি গোপনে বিভিন্ন স্থানে বৈঠক করেন এবং সমাবেশ সফল করতে নানা ব্যবস্থা নেন।
মোস্তফা আমিনের নেতৃত্বে সমাবেশের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য তার অনুসারীরা প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে সভা করেন এবং ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেট তৈরি করেন। এই লিফলেটে লেখা ছিল, “লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করবো, বিনা সুদে পুঁজি নেবো।”
১৫ নভেম্বর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে মোস্তফা আমিন জানান, ২৫ নভেম্বর শাহবাগে একটি বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তার এই কার্যক্রমের পর গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার উদ্দেশ্য নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে রিমান্ডে নেয়া হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।