চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইনি অগ্রগতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে জানানো হয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন ছয়জনকে চিহ্নিত করে আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে আরও ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, দেশীয় অস্ত্র ও ককটেলসহ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তার অনুসারীরা। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত ভবনের নিচ থেকে টেনে নিয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের পেছনে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, একদল উগ্রপন্থী বিক্ষোভকারী আলিফকে ঘিরে হামলা চালাচ্ছে। মাথা ও ঘাড় থেকে রক্ত ঝরতে থাকা অবস্থায়ও তার ওপর আঘাত চালানো হয়।
আজ সকালে সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ আদালত প্রাঙ্গণে আনা হলে সহকর্মী আইনজীবীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা দ্রুততম সময়ে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সকাল সাড়ে ১০টায় আদালত প্রাঙ্গণে আলিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির সদস্য সারজিস আলম। তারা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।