চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে আদালত ভবনের প্রধান ফটকের সামনে সংঘর্ষের সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী তারেক আজিজ জানিয়েছেন, নগরের কোতোয়ালি থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ২০ জনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের পরিচয় যাচাইয়ের কাজ চলছে। পাশাপাশি, এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে মিছিলের প্রস্তুতিকালে নগরের পাহাড়তলীর সরাইপাড়া এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ছয় নেতাকর্মীকেও আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে আছেন মামুনুর রশিদ, শহীদ উদ্দীন, ইয়াছিন, আবু হেনা, মোমিনুল এবং রহিম। পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিরা সাবেক সিটি কাউন্সিলর সাবের হোসেনের বাসায় অবস্থান করছিলেন। কেন তারা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে, সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় তার অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দেয়। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম গুরুতর আহত হন এবং পরে নিহত হন।
এ ঘটনার পর চট্টগ্রামে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়েছে এবং নগরীর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।