বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে নতুন আলুর কেজি ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোমবার (১৯ নভেম্বর) শিবগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আগের দিন রোববার এই আলু ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছিল।
উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় সবজির বাজার মহাস্থান হাটে নতুন আলু পাইকারি ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। শিবগঞ্জ থানা বাজার, মোকামতলা, গুজিয়া, আমতলী ও কিচকের খুচরা বাজারগুলোতে তা ৪২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় আলুর দাম এত বেশি। তবে তারা আশা করছেন, মৌসুম পুরোপুরি শুরু হলে দাম কমে যাবে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, এই প্রথমবার তারা আলুর কেজি ৪২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখলেন। পুরাতন আলুর দামও বেশি হওয়ায় তারা বেশ বিপাকে পড়েছেন।
মহাস্থান সবজি বাজারে আলু বিক্রি করতে আসা নুর ইসলাম জানান, কিছু কৃষক আগাম আলু চাষ করেছিলেন, তারাই এখন বাজারে নতুন আলু এনেছেন। তবে বগুড়ায় এখনও পুরোদমে আলু তোলা শুরু হয়নি। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর থেকেও কিছু নতুন আলু আসছে।
শিবগঞ্জ বাজারে আলু কিনতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ৪২০ টাকায় আলু কিনতে হবে, তা তিনি কখনো কল্পনাও করেননি। তার কথায়, “পুরাতন আলুর দামও ৭০ টাকা কেজি। এভাবে সবজির দাম বাড়তে থাকলে মানুষ ভাতের সঙ্গে কী খাবে?”
বগুড়ার কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারিতে নতুন আলুর ভরা মৌসুম শুরু হবে। তখন বাজারে আলুর সরবরাহ বাড়বে এবং দামও কমবে। তিনি বলেন, এখন কিছু কৃষক অধিক লাভের আশায় আগাম আলু চাষ করেছেন, যা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে এগুলো এখনও পুরোপুরি পরিপক্ব নয়।
এ বছর বগুড়ায় ২,২৫০ হেক্টর জমিতে ৪০,৫০০ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন আলুর এই চড়া দাম ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্যই বিস্ময়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।