সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও কারাবন্দি সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় শুরু করেছেন।
রোববার তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চেম্বার পার্টনার আইনজীবী এম লিটন আহমেদ জানান, গত ১৫ নভেম্বর কারাগারে গিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
লিটন আহমেদের ভাষ্য অনুযায়ী, কারাগারে ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গী হিসেবে আছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং সাবেক মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান। তারা একই রুমে থাকেন। প্রতিদিন ভোরে ফজরের আজানের আগেই ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়েন সুমন। সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে ডিভিশন সুবিধা পেলেও মোবাইল ফোন ব্যবহার না করতে পারায় তার কষ্ট হচ্ছে, কারণ আগে তিনি মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহারে বেশ সক্রিয় ছিলেন।
জেলজীবনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সুমন বলেছেন, সন্ধ্যার আগেই সেলে ঢুকে পড়তে হয় এবং খাবার খেয়ে নিতে হয়, যা তার স্বাভাবিক জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন।
দিনের বাকি সময় কীভাবে কাটান— এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী লিটন জানান, সুমন মাঝে মাঝে হাঁটাহাঁটি করেন। তবে অন্য বন্দিরা তাকে দেখে ডাকাডাকি করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, যা তার চলাফেরায় বাধা তৈরি করে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যুবদল নেতা হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গত ২১ অক্টোবর মধ্যরাতে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার হন ব্যারিস্টার সুমন। রিমান্ড শেষে ২৭ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ১৯ জুলাই মিরপুরে এক সমাবেশে হামলা চালানো হয়, যেখানে হৃদয় মিয়া গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ব্যারিস্টার সুমন ৩ নম্বর আসামি।