জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব সমন্বয়ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা শেষে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু সমন্বয়ক পদত্যাগের পরও নিজেদের সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিয়ে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে ২য় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ ৫ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আজ সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হয়।
আলোচনার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নূর নবী নিজেকে পুনরায় সমন্বয়ক ঘোষণা করলে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক রইস উদদীন এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির আহমেদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সভা শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সাফ জানিয়ে দেন যে, চলমান আন্দোলনে কোনো সমন্বয়কের ভূমিকা নেই, বরং সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবেই পরিচিত থাকবে।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, “মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা লিখিত আকারে প্রশাসনের কাছে চেয়েছিলাম। তবে কিছু লোক এসে পুরনো প্রসঙ্গ টেনে এনে আমাদের যৌক্তিক দাবিকে উপেক্ষা করেছে। অতীতেও শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করছি যে, আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সমন্বয়কের প্রয়োজন নেই।”