বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নস্যাৎ করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অর্থের জোগান দিয়েছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। তার দেওয়া অর্থের উৎস এবং অর্থের হিসাব জানতে তার ব্যাংক হিসাব এবং লেনদেনের পরিমাণ ও তারিখ জানতে চায় পুলিশ। এ লক্ষ্যে শমী কায়সারকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারকে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, উত্তরা পূর্ব থানার এসআই মৃত্যুঞ্জয় পন্ডিত মিঠুন, এ রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, শমী কায়সার ক্ষমতাচ্যুত সরকারের নেতাকর্মীদের উসকানি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের দমনে ভূমিকা রাখেন এবং আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তার দেওয়া অর্থের উৎস এবং লেনদেনের বিস্তারিত জানতে তদন্তের স্বার্থে তার ব্যাংক হিসাব যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি।
তদন্ত কর্মকর্তার মতে, মামলার মূল তথ্য উদঘাটন এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য শমী কায়সারকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, শমী কায়সারের অর্থায়নের সূত্র এবং বিভিন্ন লেনদেনের তথ্য খুঁজে পেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রকৃত পরিস্থিতি এবং এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের ভূমিকা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানা পুলিশ। মামলার সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদ গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে সংঘটিত সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের হামলা ও গুলিবর্ষণে তিনি আহত হন।