Friday , November 22 2024
Breaking News
Home / Countrywide / শেখ হাসিনার সংস্পর্শে দুর্বল হয়ে যাই : সোহেল তাজ

শেখ হাসিনার সংস্পর্শে দুর্বল হয়ে যাই : সোহেল তাজ

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে গেছেন শেখ হাসিনা। এখনো তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ। তিনি শেখ হাসিনার বিষয়ে তার ব্যক্তিগত অনুভূতির কথাও তুলে ধরেন।

সোহেল তাজ বলেন, ‘যে যা-ই বলুক না কেন, শেখ হাসিনার একটা গুণ আছে। তার সংস্পর্শে এলে কেন জানি সবাই নিজেকে হারিয়ে ফেলে। এটা অ্যামেইজিং ট্যালেন্ট কারিশমা বলে। আপনি তার সামনে গেলে একদম দুর্বল হয়ে যাবেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দেশত্যাগ প্রসঙ্গে সোহেল তাজ জানান, “২০০৯ সালে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল, এবং আমি সেই মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ছিলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল দেশকে পরিবর্তন করা এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসা। তবে, দুঃখের বিষয় হলো আমরা আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারিনি এবং প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলাম।”

ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২৩৭টি মামলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সোহেল তাজ বলেন, “২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিরোধীদলীয় রাজনীতির সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি এবং তাকে সম্মান করি। তবে দেশে ফিরে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছি।”

মন্ত্রিত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে সোহেল তাজ বলেন, “আমি বাংলাদেশ ছেড়ে আমেরিকায় চলে গিয়ে তাকে (শেখ হাসিনা) ফোন দিয়ে অনুরোধ করি আমাকে পদত্যাগ করতে দিতে। তিনি আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন থেকে যাওয়ার জন্য। তিনি এমনকি গানও গেয়েছিলেন, যা আমাকে হতবাক করে দিয়েছিল।”

তিনি আরও জানান, “আমার বোনকেও জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল, কারণ তাজউদ্দীন পরিবার থেকে পদত্যাগের বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।”

About Nasimul Islam

Check Also

থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে উল্টো কট ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে কাঁঠালিয়া থানার একটি মামলায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *