যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতের আদেশে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল, যা পরে স্থগিত করা হয়। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত বৃহস্পতিবার, মার্কিন আদালত এ পরোয়ানা জারি করলে অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নর ওয়াশিংটনের হোটেল ছেড়ে ম্যারিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাসভবনে আশ্রয় নেন। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে ২১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে আসেন অর্থ উপদেষ্টা ও তার নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। আদালতের পরোয়ানার খবর জানার পর তারা পূর্বনির্ধারিত সভায় অংশগ্রহণ না করে রাষ্ট্রদূতের বাসায় অবস্থান নিয়েছেন, যা কূটনৈতিক সুরক্ষায় থাকায় অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার সম্ভব নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট বিচারক কার্ল জে নিকোলস স্মিথ কোজেনারেশনের দায়ের করা ৩১.৯ মিলিয়ন ডলারের মামলায় সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আহসান এইচ মনসুরকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন। ২০০৬ সালে দায়েরকৃত এই মামলার মূল কারণ ১৯৯৭ সালে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে স্মিথ কোজেনারেশনের চুক্তি, যা পরবর্তীতে বাতিল করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল তার ফেসবুকে লিখেছেন, আদালতের রায়টি অনেকটা এখতিয়ারবহির্ভূত এবং আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে বিষয়টি যথাযথভাবে বর্তমান সরকারের নজরে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।