রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে দুই দিনের সময় চেয়ে নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে আগামী দুই দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে এ প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে। নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, “দুই দিন পর কি ‘চুপ্পুর’ খেলা শেষ হবে?”
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় সমাবেশ ও প্রবাসী সরকার ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়কও একই দাবি করে জানান, ওই সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখতে পারেন বলে তথ্য রয়েছে।
এ খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই নেট দুনিয়ায় আওয়ামী সমর্থকরা কোটা আন্দোলনের সমন্বয় পন্থীদের উল্লেখ করে বার্তা দিচ্ছেন আর মাত্র দুইদিন তারপর তোদের খেলা শেষ।তার মানে কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি চাউর হওয়া সমন্বয়ক হটাও দেশ বাঁচাও এমন কথারই বাস্তব প্রতিফলনের মাধ্যমে সমন্বয়কদের খেলা শেষ করে দিচ্ছেন?
অন্যদিকে সমন্বয়ক সমর্থিত গোষ্ঠী বলছে অলরেডি হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইজিপির কাছে পাঠানো হয়েছে।এতে উল্টো তারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলছেন,আর মাত্র দুই দিন তারপর হাসিনার খেলা শেষ।
সবাই এখন কৌতূহলী—এই রাজনৈতিক উত্তেজনার শেষ পর্যন্ত কারা টিকে থাকবে এবং কারা হারিয়ে যাবে? দিন শেষে মাঠে কে আউট হয় আর কে খেলে যায়, সেটিই দেখার বিষয়।