দুর্নীতির মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ৮ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। বাবরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির।
এর আগে, ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলামের আদালতে দুর্নীতির মামলায় বাবরকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে বাবর আপিল করলে হাইকোর্ট এই খালাসের রায় দেন।
২০০৭ সালের ২৮ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যৌথবাহিনী বাবরকে আটক করে। ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলাটি করেছিলেন দুদকের চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করলেও, প্রাইম ব্যাংক ও এইচএসবিসি ব্যাংকের দুটি এফডিআরে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপন করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০৮ সালের ১২ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
বাবরের এই দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে তিনি হাইকোর্ট থেকে মুক্তি পেলেন।