সাকিব আল হাসানকে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে তার ভক্তরা নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, সাকিবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া একটি পক্ষও সক্রিয়। মিরপুর স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকা বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, ফলে কোনো সভা-সমাবেশ আয়োজনের সুযোগ নেই। এই অবস্থায় সাকিবভক্তরা ভিন্ন কৌশল নিয়েছেন—তারা হাজার হাজার ইমেইল পাঠাচ্ছেন আইসিসিকে, অভিযোগ করে যে সাকিবকে জোর করে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তাকে শেষ টেস্ট খেলতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের আশা, প্রচুর সংখ্যক ইমেইল পেলে আইসিসি এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
তবে প্রশ্ন হলো, এই ধরনের মেইলের চাপে আইসিসি কোনো পদক্ষেপ নেবে কি? প্রথমত, আইসিসি একটি স্বাধীন সংস্থা, যা রাজনৈতিক চাপ বা জনমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয় না। যদি কোনো দেশের ক্রিকেটে সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ঘটে, তবেই আইসিসি সেই দেশকে নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করে। সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে উল্লেখ করা যায়, যাদের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং আন্তর্জাতিক আসর সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
সাকিব ইস্যুতে হাজার হাজার ইমেইল পেয়ে আইসিসি নিশ্চয়ই বিষয়টি লক্ষ্য করেছে। তবে, এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিরাপত্তার প্রশ্ন। যদি আইসিসি মনে করে যে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে, তাহলে বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসিত হতে পারে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা দল যদি নিজেদের অনিরাপদ মনে করে, তাহলেও ঝুঁকি তৈরি হবে। সাকিবকে ঘিরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ আইসিসির চোখে মিরপুরকে অনিরাপদ হিসেবে প্রমাণ করতে পারে।
তাছাড়া, সাকিব না খেললে টেস্ট ম্যাচ ভণ্ডুলের হুমকি দিয়ে একটি পক্ষ ইতিমধ্যেই উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির কারণ হতে পারে।