বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এ কে এম শহীদুল হকসহ ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার সকালে, তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আট দিন, শহীদুল হককে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিএমএম আদালত। এছাড়া, পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল কাফির আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আদালতে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, “আমি পুলিশ প্রধান থাকা অবস্থায় কোনো মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করিনি। আমি জনগণের সেবা করেছি এবং পুলিশের মান উন্নয়নে কাজ করেছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো মিথ্যা।”
অপরদিকে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন কোনো কথা না বলে আদালতের কার্যক্রম শুনছিলেন। তাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
শুনানির সময় শহীদুল হকের আইনজীবী তার মক্কেলের বয়স, স্বাস্থ্য, এবং তার অবসরের পর থেকে সরকারি কোনো পদে না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে রিমান্ড বাতিল এবং জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদন খারিজ করে তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফির রিমান্ড শুনানি শুরু হয়, যেখানে তার আইনজীবীও মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতারের অভিযোগ এনে রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার আবেদনও খারিজ করে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সর্বশেষ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মুদি দোকানি আবু সায়েদের হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তার আইনজীবীরা মামুনের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকার কথা উল্লেখ করে তার জামিনের আবেদন করেন, কিন্তু আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানি শেষে ডিবির গাড়িতে সাবেক দুই আইজিপিকে এবং প্রিজনভ্যানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফিকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে দীপু মনির পর এই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে হাতকড়া পরানো হয়নি।