দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এই গণঅভ্যুত্থানকে দমন করতে বিদায়ী সরকার কঠোর বলপ্রয়োগ করলে অনেক প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিনের শাসনকালীন সময়ে মানুষ অপহরণ, গুম, ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, ফলে জনসাধারণের মধ্যে বিদায়ী সরকারের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব নির্যাতনের বিচার করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বর্তমান সরকার জাতিসংঘকে সত্য অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু এই সময় কিছু অতি উৎসাহী ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে, যা প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ, ও আদালতে আসামিদের আক্রমণের মতো অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডে পরিণত হচ্ছে।’
সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেছে, ‘মামলা হওয়া মানেই যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়; বরং সঠিক যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ‘জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, দল-মত নির্বিশেষে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দপ্তরে জানাতে হবে। কোনোভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও বা সহিংস আচরণ করা যাবে না। তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলা হবে এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে আন্তরিকভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে।