বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ভারতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকলে বা সত্য হলেও সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না।” আমরা এই নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা দিই না।
রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) ‘ছয় ছাত্রনেতার ওপর ভারতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করে দ্য মিরর এশিয়া, যাতে নুসরাত তাবাসসুমের নাম রয়েছে। সংবাদে উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নুসরাত তাবাসসুম কালবেলাকে একথা বলেন।
তিনি বলেন, “দ্য মিরর এশিয়ার খবর ছাড়া নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আমি সত্যিই কিছু জানি না বা শুনি নি।” এ বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার থেকে আমাদের কিছু বলা হয়নি, দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিও আমাদের কিছু জানায়নি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা সবাই অনলাইনে মিরর এশিয়ার খবর যেমন দেখেছেন, আমিও সেটি দেখেছি। এর বেশি কিছু জানি না।
নুসরাত আরও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা সত্যি কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকলেও বা সত্য হলেও সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। এই নিষেধাজ্ঞায় আমাদের কিছু আসে যায় না। কারণ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান স্পষ্ট। এজন্য, যদি নিষেধাজ্ঞা দিয়েও থাকে তাহলে মনে করছি যে, এতে আমাদের আন্দোলন পূর্ণতা পেলো।
দ্য মিরর এশিয়া জানায়, ভারতবিরোধী জনতাকে উসকে দেওয়া ও ভারতের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে বাংলাদেশের ছয় ছাত্রনেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠজনদের ভিসা না দেওয়ার জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের আহ্বায়ক শক্তি আখতার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর নবনিযুক্ত বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত হোসেন আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নুসরাত তাবাসসুম।