Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ইসলামী ব্যাংক দখল নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক এমডি

ইসলামী ব্যাংক দখল নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক এমডি

ইসলামী ব্যাংক দখল নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক এমডি আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, জোর করে পদত্যাগপত্রে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ব্যাংকিং খাতে দখল নিরসন বিষয়ক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুল মান্নান বলেন, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ভোরে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) কয়েকজন কর্মকর্তা আমাকে কচুক্ষেতে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যান। একইভাবে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর এস আলম গ্রুপ আমাদের পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে ব্যাংক দখল করে নেয়।

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এই এমডি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের একটি অব্যবহৃত প্যাডে লেখা পদত্যাগপত্রে জোর করে সই নেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্যাড ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক কখনই ব্যবহার করেনি। সে ধরনের একটি প্যাডে আমার পদত্যাগপত্র নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের স্যাররা গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন।তারা ওই দিনই ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে কাজ করেছেন। এগুলো কীভাবে হতে পারে একটি দেশের ব্যাংক খাতে। যে ব্যাংক খাত একটি দেশের অর্থনীতির প্রাণ।

আবদুল মান্নান বলেন, পরের কয়েক বছর তাদের টেলিফোনে (এস আলম গ্রুপ) বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের অনেক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যতে এমনটা ঘটানোর কেউ সাহস না পায়।

তিনি বলেন, বিদেশে থাকা অবস্থায় দেশের কয়েকজন সাংবাদিক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কথা বলিনি। কারণ আমি নিরাপদ বোধ করিনি। আতঙ্কের মধ্যে থেকেছি। আবার বাংলাদেশে এসে নিশ্বাস নিতে পারব বলে মনে করিনি।

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এই এমডি আরও বলেন, আমি এখন মনে করি আমার কথা বলার স্বাধীনতা আছে। তবে সেই ভয় কাটতে সময় লাগবে। মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে বোধ হয় আমার আরও সময় লাগবে।

About Nasimul Islam

Check Also

থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে উল্টো কট ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে কাঁঠালিয়া থানার একটি মামলায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *