অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগোসহ সবকিছুই পরিবর্তন করা হবে।
রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশের ইউনিফর্ম, লোগো পরিবর্তন করা হবে। পুলিশের অনেকেরই মন খারাপ। পুলিশ আর এই ইউনিফর্মে কাজ করতে চায় না। খুব শীঘ্রই এটি পরিবর্তন করা হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাজনৈতিক সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুলিশের যতখানি না দোষ, তার চেয়ে বেশি দোষ তাদের যারা কমান্ড করেছে। তাদের দিয়ে অনেক রাজনৈতিক কাজ করানো হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা বিস্তারিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা করব। পুলিশ সদস্যেরা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, এখন থেকে তারা ঠিকমতো কাজ করবেন। এর আগে বিকেলে আমি ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ছাত্ররা আমাকে বলেছে, পুলিশের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই। পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ কমিশন হওয়া উচিত। সেই কমিশনের অধীনে পুলিশকে ম্যানেজ করা হবে। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে থাকবে না। পুলিশ যাতে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
বৈঠক শেষে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ক পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শোইবুর রহমান পুলিশ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তারা বলেন, আমরা সরকারের কাছে যেসব দাবি জানিয়েছিলাম তার বেশির ভাগই মেনে নেওয়ার আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি। আশা করি, সবাই সুন্দরভাবে নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরবেন।
সেখানে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তারা। পুলিশের দাবি অনেকাংশেই মেনে নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই পুলিশের পোশাক পরিবর্তন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশের ওপর স্বাধীন কমিশন গঠনের ইতিবাচক ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম, বিজিবির মহাপরিচালক, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ।