কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আলফি শাহরিয়ার মাহিম নামে এক কিশোরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত বুধবার ভুক্তভোগীর বোন সানজানা আক্তার স্নেহা ফেসবুকে পোস্ট দিলে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
সানজানা লিখেছেন, ‘আমার ছোট ভাই মো. আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশের (এইচএসসি ২৫) ছাত্র।
এ প্রসঙ্গে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ১৮ জুলাই থানায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের সময় মাহিম জিন্স প্যান্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি পরা অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার করা হয়। ” পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘১৮ ও ১৯ তারিখে পুরো বাহিনী সংঘর্ষে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মূলত ২০ জুলাই থেকে আমরা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে গ্রেপ্তার করেছি। বিষয়টি জানামাত্র পুলিশ কমিশনার মহোদয় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যেহেতু মাহিম ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না, আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল মাত্র, জামিনের মাধ্যমে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’