Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে “আন্দোলকারীদের” কঠোর হুঁশিয়ারি: পরিস্থিতি কি আবারও ঘোলাটে হবে?

২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে “আন্দোলকারীদের” কঠোর হুঁশিয়ারি: পরিস্থিতি কি আবারও ঘোলাটে হবে?

গ্রেপ্তার ও নিখোঁজদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে একদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এছাড়াও, মন্ত্রী থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এ ঘোষণা দেন।

সম্মেলনে আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, রোববার (২৮ জুলাই) জেলা, উপজেলাসহ সব পর্যায়ে হেলথ ফোর্স এবং লিগ্যাল ফোর্স গঠন করা হবে। তারা সারাদেশে আহত ও নিহতদের তথ্য সংগ্রহ করবেন।
এছাড়া সারাদেশে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখনের ঘোষণা দেন নেতারা।

আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে গণহত্যা চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত যত ঘটনা ঘটেছে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। চলমান গণহত্যার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানাই।

মাসুদ বলেন, “আমরা তিনটি বিষয় স্পষ্ট করছি। এর আগে ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর, এটি ৬ বছরও স্থায়ী হয়নি। তাই, সার্কুলার গেম বন্ধ করুন এবং স্টেকহোল্ডারদের সাথে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করুন, একটি স্বাধীন দল গঠন করে একটি স্বাধীন স্থায়ী কমিশন গঠন ও কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আইন পাস করতে হবে।

পুলিশ কনস্টেবল থেকে মন্ত্রী; যতজন শিক্ষার্থী হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের অব্যাহতি দিয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে।

এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যতগুলো মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, সেসব মামলা প্রত্যাহার করে নিখোঁজ ও আটক শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে। তা না হলে ‘বাংলা ব্লকেড’-এর চেয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

নেতারা বলেন, দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। আমরা আর ঘরে বসে থাকব না। আমরা রাজপথে নামব।

আন্দোলনের সহসমন্বয়ক রিফাত রশিদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, মাহিন সরকার উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের প্রথমে নেতা বলেন, এক বাজে অবস্থায় আমরা আপনাদের সামনে এসেছি। এ সময় বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ তুলে ধরে নিহত ও আহতদের বর্ণনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর ‘র‍্যাব হেলিকাপ্টার দিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়েছে’ বক্তব্যও প্রত্যাখ্যান করেন নেতারা।

তারা প্রশ্ন করেন, রাস্তায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কি গ্রেফতার করা হয়েছে?

কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি পর্যায়ও বাস্তবায়িত হয়নি দাবি করে বিশ্ববাসীর কাছে ‘গণহত্যার’ বিচার দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার। তিনি বলেন, আমরা ১১-১২ দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। তবে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পর দেওয়া বক্তৃতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানায়। এখন বলা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের দাবি সরকার মেনে নিয়েছে কিন্তু তা সত্য নয়। আমরা এই ‘খুনি’ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নই। আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। আমাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছেন। তারা বলেন, সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশও করা হয়নি বরং শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে অপরাজনীতি করা হচ্ছে। এ দায় সরকারেরই নিতে হবে।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *