ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসে অধ্যয়নরত অবস্থায় কোটা সংস্কারবিরোধী আন্দোলনে সবুজ আলী নামে এক ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। পরে আবার নিহত ছাত্রকে ছাত্রলীগকর্মী বলে প্রচারের ঘটনায় রাতভর উত্তাল ছিল ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস। এ ঘটনায় সাধারণ ছাত্রদের তোপের মুখে হল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে ঢাকা কলেজের উত্তর ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে হল সুপাররা গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরাও কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। নিহত সবুজ আলী ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের অনার্সের (২০১৮-১৯) ছাত্র এবং উত্তর ক্যাম্পাসের ২০৫ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি নীলফামারী জেলায়।
ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা জানান, সবুজ আলীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত রহমত নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে হল থেকে জোর করে বের করে দেয় শিক্ষার্থীরা। গভীর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কলেজ সুপারসহ কলেজ প্রশাসনের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালায় শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার দুপুরে সাইন্সল্যাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে রহমত, জসিম, বিল্লাল, ওলিসহ ছাত্রলীগ নেতারা ওই ছাত্রবাসের সব ছাত্রকে বাধ্য করে কোটা সংস্কারবিরোধী আন্দোলনে নিয়ে যায়। সে সময় তারা রিডিং রুমে অধ্যয়নরত সবুজ আলীকেও জোরপূর্বক নিয়ে যায়। সাইন্সল্যাবে সাধারণ ছাত্র মনে করে ছাত্রলীগের কর্মীরাই তার ওপর হামলা করলে সবুজ গুরুতর আহত হয়, পরে ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে কলেজে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে হল ত্যাগ করতে থাকে।