খুলনার দৌলতপুর এলাকায় নিহতের ছোট মেয়ে সুমাইয়া বিনতে কবির (১৬) মৃত্যুর সাত দিন পর থানায় গিয়ে নিজেকে বাবার খুনি বলে দাবি করেন। এই ঘটনা জানা জানি হলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিহত মোঃ শেখ হুমায়ুন কবিরের (৫২) মেয়ে সুমাইয়া জানান, তার বাবাকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে এবং বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে তিনি।
শনিবার (১৩ জুলাই) দৌলতপুর থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রোববার মেয়েটিকে আদালতে তোলা হবে বলে জানান তিনি। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, শেখ হুমায়ুন কবির ৫ জুলাই মারা যান। সকালে তার স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েরা তাকে ডেকে তুলতে না পেরে নিশ্চিত হন যে তিনি মারা গেছেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে দাফন করে। কিন্তু রাতে খাওয়ার পর ঘুমের মধ্যেই একজন সুস্থ মানুষ মারা যান এবং গোসল করতে গিয়ে বাম হাতে দুটি ছিদ্র দেখে কয়েকজনকে সাপের কামড়ে সন্দেহ হয়। এ অবস্থায় নিহতের ছোট মেয়ে সুমাইয়া গত ১২ জুলাই দৌলতপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। একই সঙ্গে তিনি তার বাবার মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে পুলিশকে জানান।
এ বিষয়ে ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সুমাইয়া পুলিশকে বলেছে, সে তার বাবাকে হত্যা করেছে। সে তার বাবাকে হত্যা করেছে। রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট দিয়ে এবং পরে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে সুমাইয়া ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছেন।’
ওসি প্রবীর কুমার আরও বলেন, ‘আমরা তার পরিবারের সদস্যদের ডেকেছি। কেউ কেউ বলছেন তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী। কিন্তু তার বড় বোনের সন্দেহের কারণে তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। রোববার আদালতে তোলা হবে।