ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্বের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ইফতার পার্টির আয়োজনে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে।
সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাঙালি সংস্কৃতির ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে এক ব্যানারে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
তারা অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান। পরে শিক্ষার্থীরা টিএসসি থেকে অপরাজেয় বাংলা পর্যন্ত মিছিল করে। এর আগে, সোমবার শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি প্রশাসন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টির আয়োজন না করার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়।
মানববন্ধনে ইসলামিক স্টাডিজের ছাত্র এবি জুবায়ের বলেন, নোবিপ্রবি ও শাবিপ্রবি ইফতার পার্টি নিষেধ করার প্রতিবাদে আমরা দাঁড়িয়েছি। পবিত্র রমজানে ইফতার পার্টি করা আমাদের ঐতিহ্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় যে নোটিশ দিয়েছে, তা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও চেতনার বিরোধী। সে জায়গা থেকে আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি যেন এ ধরনের ধর্মবিদ্বেষী নোটিশ আর দেওয়া না হয়। অবিলম্বে এ নোটিশ যেন প্রত্যাহার করা হয়।
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আরিফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ, এ দেশে ইফতারকে কীভাবে নিষিদ্ধ করে? এটা খুবই জঘন্য কাজ হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ইফতার নিয়ে বিজ্ঞপ্তি তুলে নিতে হবে।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আরাফাত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জাতির সঙ্গে এ ধরনের তামাশা বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি ক্যাম্পাসে মুসলিম শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সত্ত্বেও ইফতার পার্টি নিষিদ্ধ করা দুঃসাহসী। এদেশে হাজার বছর ধরে সুফি সন্ন্যাসীদের ইফতারের ঐতিহ্য রয়েছে।আমরা একা একা ইফতার না করে বেশি বেশি করে সবার সঙ্গে মিলেমিশে ইফতার করব। অবিলম্বে এ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।