জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌরসভার উপজেলা বিএনপি থেকে সম্প্রতি বহিষ্কৃত সদস্য সচিব মো.ফকরুজ্জামান মতিন বিজয়ী হয়েছেন । আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়ের দুই হেভিওয়েট নেতাসহ তিনজনকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
মতিন নারকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুল পেয়েছেন সাত হাজার ৫৪৩ ভোট এবং সাবেক মেয়র ও পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম সওদাগর জাগ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৪২০ ভোট। চতুর্থ অবস্থানে থাকা আনোয়ার হোসেন বাহাদুর তালুকদার পেয়েছেন ১ হাজার ৬৯৫ ভোট।
শনিবার রাত ৯টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানিয়াুজ্জামান তালুকদার বেসরকারিভাবে ফকরুজ্জামানকে মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
এর আগে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়। এরপর বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ের সভাকক্ষ থেকে ১২টি নির্বাচনী কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেওয়ায় মো. ফকরুজ্জামানকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব পদসহ দলীয় সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১২টি ভোট কেন্দ্রের ১০৯টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হয়েছে। পৌরসভায় ভোটার ৩৫ হাজার ৫১৮ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। মেয়র পদে চারজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৬ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।