চাঁদপুরের মমিন মিয়া বিয়ের দিন রাতে জানতে পারেন তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। স্থানীয় পরীক্ষায় তিনি গর্ভবতী বলে নিশ্চিত হওয়ার পর সেই রাতেই তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দেন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে বিয়ে ও বিচ্ছেদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. সেলিম। ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর সাকদিরামপুর গ্রামের বাড়িতে মোমিন ও তরুণীর বিয়ে হয়।
মোঃ সেলিম জানান, মেয়েটির বাবা দিনমজুর। তার ৪টি মেয়ে রয়েছে। এই মেয়েটি তৃতীয়। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আরেকটা ছোট মেয়ে আছে। জানতে পারলাম মেয়েটির বিয়ে হয়েছে পুরান বাজারে। এরপর মেয়েটির বাবা কয়েকদিন আগে বাজারে যাওয়ার পথে আমাকে বলেন, তার মেয়েকে ধ*র্ষণ করা হয়েছে। এরপর তিনি তার বাড়ির লিটন নামে এক যুবকের নাম উল্লেখ করেন। আমি চেয়ারম্যানকে এসব বিষয়ে অবহিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
এদিকে ঘটনার পর কনে গণমাধ্যমকে জানান, তাকে বিভিন্ন সময় এলাকার লিটন, ইলিয়াছ মাস্টার, শিমুল ও রনি পালাক্রমে ধ*র্ষণ করে। যার জেরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
বর মমিনের মা ছালেহা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, তার ছেলে ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। ছেলের বিয়ের আগে এ ধরনের কোনো তথ্য তারা জানতেন না। বিয়ের রাতে ছেলের বউয়ের অবস্থা দেখে তারা অবাক। পরে রাতে, তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হয় এবং নিশ্চিত করা হয় যে তিনি গর্ভবতী। ওই রাতেই ছেলের ডিভোর্স হয়ে যায়। পরের দিন,তাকে শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবার পরীক্ষা করা হয় এবং একটি আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্ট পায় যে সে 8 মাসের গর্ভবতী। পরে ওই দিন মেয়েটির পরিবার এসে তাকে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী বলেন, এ ধরনের ঘটনার কথা আমাকে কেউ বলেনি। মানুষের মুখে শুনেছি। মেয়ের বাবা দিনমজুর ও বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়ে যাদের নাম বলেছে তারা অনেকটা বখাটে ধরনের। কিন্তু ধর্ষণে জড়িত আছে কিনা বলতে পারবো না।