ছয় বছরের প্রেমের ইতি টানলেন বাংলাদেশি যুবক রিয়াজ উদ্দিন ও মালয়েশিয়ান তরুণী নূর আজিরা বিনতে আজহার।
শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবীরনগর এলাকায় নিজ বাসায় বিয়ে হয় এই দম্পতির।
এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ওই এলাকার কাজী মোহাম্মদ আলী বেলাল এ বিয়ে পড়ান। বিয়েতে দেনমহর ছিল দুই লাখ টাকা।
বর রিয়াজ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিনগর এলাকার সাবেক সহকারী সাব-রেজিস্ট্রার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
কনে আজিরা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের আজহা বিন হোসেন ও নূর আসকিন বিন আরেফিনের মেয়ে।
রিয়াজের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে তিনি মালয়েশিয়ায় যান। ৬ বছর আগে একদিন, আজির একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউটে ক্লাস নিতে এসেছিল। পাশেই ছিল রিয়াজের দোকান। সেই ফ্যাশন ডিজাইন ক্লাসে আসা-যাওয়ার পথে তারা বন্ধু হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা প্রেমে পড়েন। আজিরা তার মাকে জানায় রিয়াজের সাথে তার সম্পর্কের কথা।
রিয়াজ বলেন, আজিরার বাবা শুরুতে একটু বিমর্ষ ছিলেন। কিন্তু পরে রিয়াজের সঙ্গে তার শ্বশুর আজহারের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্ক এখন বন্ধুর মতো।
কনে নূর আজিরা বিনতে আযহা বলেন, বাংলাদেশিরা খুবই চমৎকার এবং শ্রদ্ধাশীল। আমি রিয়াজকে খুব ভালোবাসি। কারণ সে খুব ভদ্র এবং খুব সুন্দর।
তিনি বলেন, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করেছে। আমি তাদের সাথে ৪ দিন থাকলাম। আমি তাদের আমার পরিবারের মতো অনুভব করেছি।
রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আজিরা মালয়েশিয়ায় আমাদের দেশের নামে খারাপ কিছু শুনেছে। তবে উড়োজাহাজে এক বাঙালির উপকারে সে মুগ্ধ হয়ে পড়েছে। বিমানবন্দরে তাকে সংশ্লিষ্টরা আমাদের দেশে স্বাগত জানিয়েছে। এসব বিষয়ে আজিরা খুবই খুশি। আজিরা এখন বাংলাদেশিদের সম্মান করে। আমি এক বছর দেশে আছি। এরমধ্যে আজিরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবে। তাকে একবারে দেশে আনার জন্য মালয়েশিয়ার দূতাবাসসহ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হবে।
আজিরার সম্পর্কের রিয়াজ বলেন, আজিরার কোনো বয় ফ্রেন্ড নেই, তাই তাকে বেশি ভালোবাসি। আর মালয়েশিয়ায় অনেক ধরনের মেয়ে দেখেছি। কিন্তু আজিরার মতো কাউকে পেলাম না। আজিরা খুব ভালো মনের নারী।
রিয়াজের বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, রিয়াজ আমার ছোট ছেলে। ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করতে চেয়েছিলেন। কিছু জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠানটি ছোট করে হবে। আজিরার স্বজনরা আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কাগজপত্র জটিলতার কারণে তিনি আপাতত আসতে পারছেন না। এই বিয়েতে আমরা পুরো পরিবার খুশি।