স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর সামন্তলাল সেন বলেছেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের অধিকাংশরাই কার্বন মনোক্সাইড পয়জনের বিষক্রিয়ায় মারা গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে, যখন কেউ বন্ধ ঘর থেকে বের হতে পারে না, তখন সেখানকার ধোঁয়া তাদের শ্বাসনালীতে চলে যায়। এখানেও প্রত্যেকেরই তাই হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সোয়া ১১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এই বিষের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের কেউই বাঁচতে পারেননি। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে তারা মারা গেছেন। যারা এখনো চিকিৎসাধীন তারা নিরাপদ নয়। আমরা শুরু থেকেই তাদের চিকিৎসা করছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমাদের একটি অনুরোধ করব হাসপাতালে কেন যেন কেউ ভিড় না করেন।
সকাল সাড়ে সাতটায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। যা করা দরকার তাই করতে বললেন। প্রধানমন্ত্রী রোগীদের সব দায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার তা সরকার করবে।
যাদের লাশ শনাক্ত করা যায়নি তাদের নিয়ে কী করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো আটটি লাশ হস্তান্তর করা বাকি। এরমধ্যেযেগুলো এখনো শনাক্ত করা যায়নি সেগুলো আমাদের প্রচলিত পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হবে। ডিএনএ টেস্ট করা হবে। যারা ভর্তি আছেন তাদের অধিকাংশেরই শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছে। কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।