অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
একই মামলায় মিজানের ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান, ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ও স্ত্রী সোহেলিয়া আন্না রত্নাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১ জুলাই, ২০২০ তারিখে ডিআইজি মিজান দুদকের মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করলে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। আদালত অবিলম্বে মিজানকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। আটকের পর তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই বছরের ২ জুলাই মিজানের জামিন আবেদন খারিজ হয়।
মিজানুর রহমান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে তার ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিয়ে লুকানোর জন্য তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এক সাংবাদিককে হুমকি ও হয়রানির অভিযোগে বিমানবন্দর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তাকে পুলিশ সদর দফতরে প্রত্যাহার করা হয় এবং সংযুক্ত করা হয়।
দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। ওই বছরের ২৫ জুন রাষ্ট্রপতি তাকে সাময়িক বরখাস্তের প্রস্তাব অনুমোদন করেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২৪ জুন, ২০১৯, দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে। এ মামলায় ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের পরিচালক মনজুর মোরশেদ।