সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম অবমাননা করায় ফেনীর এক সহকারী অধ্যাপককে কলেজ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা দিয়ে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়,ছাগলনাইয়া উপজেলার আবদুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজানুল হক নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘আমি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে মানবধর্মে যোগ দিব’ এই শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন।
৫০ লাইনের স্ট্যাটাসের শেষে তিনি লিখেছেন, “ইসলাম একটি সন্ত্রাসী ধর্ম।” অন্য লাইনে তিনি লিখেছেন, পর লাইনে লেখেন, ‘ধর্মের ভুল ধরলে শুধুমাত্র এদেশে চাপাতি নাও, দা নাও, ছুরি নাও, মানুষ হত্যা কর’। শেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, ‘সকলে আদম-হাওয়া থেকে এসেছে, তবুও কেন এত বিভেদ’।
এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ওই কলেজের সাধারণ ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত শিক্ষক কলেজে আসার খবর পেয়ে ওই কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ছাগলনাইয়া-বক্সমাহমুদ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং তার শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী কলেজ শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসলাম অবমাননাকারী শিক্ষককে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেবেন না।
পরে কলেজের অধ্যক্ষ আন্দোলনকারীদের কাছে গিয়ে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হক বলেন, আমি মোবাইল ফোন বাসায় রেখে দিলে কেউ আমার আইডি থেকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেয়। আমি যখন এটি লক্ষ্য করি তখন আমি স্ট্যাটাস মুছে ফেলি।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোহাম্মদ মাহাতাব উদ্দিন প্রামাণিক জানান, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের আলোকে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হককে কলেজে অবাঞ্ছিত করে।