দেশের প্রথম সারির এবং বেশ জনপ্রিয় অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবং ব্যপক আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। এরই সুত্র ধরে বর্তমান সময়ে কারাগারে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি এবং মহাব্যবস্থাপক। তবে এবার তাদের বিরুদ্ধে নতুন নির্দেশনা দিলেন উচ্চ আদালত।
কা/রা/গা/রে থাকা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য আদালতের নিযুক্ত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে কারাগারে এই দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতে আইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি কোর্ট। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় সার্ভারের তথ্য উদ্ধারে আদালত নিযুক্ত পরিচালনা পর্ষদকে সহযোগিতা করতে সি/আই/ডির ফরেনসিক বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের মঙ্গলবারের আদেশের বিষয়টি জানিয়ে ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন বোর্ড কার্যক্রম শুরু করেছে। কার্যক্রমের বর্ণনার পাশাপাশি যেসব সমস্যা আছে, তা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন।
গত মে মাসে ইভ্যালিতে ইলেকট্রনিকস পণ্য অর্ডারের পর অর্থ পরিশোধ করে পণ্য ও টাকা না পেয়ে কোম্পানিটির অবসায়ন চেয়ে ফরহাদ হোসেন নামের এক গ্রাহক ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন। এরপর ১৮ অক্টোবর আদালত ইভ্যালি দেখভাল করতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন। প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালি সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গেল ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রে/প্তা/র করা হয়।
বর্তমান সময়ে ইভ্যালির এমডি এবং মহাব্যবস্থাপক কারাগারে থাকায় উচ্চ আদালত প্রতিষ্ঠানটির অর্ন্তবর্তীকালীন পরিচালানর জন্য ৫ সদস্যের একটি টিম গঠন করে দিয়েছেন। এই টিম উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশণা অনুযায়ী কাজ করছে।