১০৫ দিন কারাগারে থাকার পর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি দাবি করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেছিল। পাশাপাশি লোভনীয় প্রস্তাবও দিয়েছিল।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, “সরকার পরিকল্পিতভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। উদ্দেশ্য ক্ষমতা ধরে রাখা। মামলা ও জেলের ভয় দেখিয়ে কাকে বিরত রাখতে হবে, কাকে যোগদান করতে হবে এটা তারাই ঠিক করবে। আমরা চাচ্ছি জনগণের কাছে যেতে, কিন্তু তারা বলছে জনগণের কাছে যাওয়া যাবে না। নির্বাচনী সিদ্ধান্ত তাদের।’
আমির খসরু মনে করেন, এত কিছুর পরও বিএনপিকে সরানো যায়নি। বরং তাদের দল আরও দৃঢ়ভাবে অনড় ও ঐক্যবদ্ধ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে একটা নির্বাচন করলো। এবার বিএনপি নেতাদের জেলে আটকে আরেকটা নির্বাচন করলো। নাগরিক অধিকার হরণ করলো তারা। নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে যত আইন-কানুন দরকার, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন-নির্যাতন দরকার তারা করেছে। এগুলো থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন পরিবেশে দু-একটা নির্বাচন হতে পারত।’
যারা আমাদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করবে তারা জনগণের কাছে তাদের জনপ্রিয়তা প্রমাণের সুযোগ পাবে। তারা সেই চ্যালেঞ্জ নিতে চায় না। তবে আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জে জিতলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তারা ভয় পায়,’ যোগ করে বলেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, সরকার পতনের মুখে আগামী দিনে সব ধরনের বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে দলীয় কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান বিএনপির এক সিনিয়র নেতা। কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে জোর করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে। যা এরইমধ্যে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচনে নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে।’
২৮ অক্টোবরের পর আমির খসরু ১০টি মামলায় কারাগারে ছিলেন। অন্য মামলায় তিনি জামিন পেলেও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল। অবশেষে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ওই মামলায় জামিন পান তিনি।