বর্তমান সময়ে দেশে নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড চলামন রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ মার্চ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত সকল ধরনের বিমান উঠানামা বন্ধ থাকবে।
সংস্কার কাজের জন্য ১১ মার্চ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, বিচমান ওঠানামা বন্ধ থাকবে। সোমবার (২২ নভেম্বর) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক নির্দেশে এ তথ্য জানানো হয়। বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনালের নতুন হাই স্পিড ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণকাজের জন্য ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে আদেশে। বেবিচকের পূর্ববর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী, এ বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত তিন মাস শাহজালালের রাতের ফ্লাইটগুলো বন্ধ রাখা হয়। ওই সময়সীমায় রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত রানওয়েতে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিল বেবিচক।
নতুন করে আরও তিন মাসের জন্য নির্দেশনা জারি হওয়ায় কার্যত ১০ ডিসেম্বর থেকে ১০ জুন পর্যন্ত সময়সীমায় দিনের একটি বড় অংশই বন্ধ থাকবে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা। এ সময় বিকল্প বিমানবন্দর হিসেবে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে কোনো ফ্লাইট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে। এদিকে, শাহজালাল বিমানবন্দরে শীতকালীন ফ্লাইট-সূচি শুরু হয়েছে। পরিবর্তন করা হয়েছে মধ্যরাতের পরের ফ্লাইটগুলোর সময়ও। প্রতি বছর নভেম্বর থেকে শীতকালীন ফ্লাইটসূচি অনুসরণ করা হয়। কেন না এ সময় রাত ২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকে। তাই রানওয়ে ‘ভিজিবিলিটি’কম থাকে বলে বিমানের অবতরণ করতে সমস্যা হয়। এ সময়ের মধ্যে জরুরি অবতরণের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ফ্লাইট অন্য যেকোনো বিমানবন্দরে পাঠাতে হয়।
এমনিতেই দীর্ঘ সময় ধরে বৈশ্বিক মহামারির কবলে পড়ে বিমান ব্যবস্থার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালিত হয়েছে। তবে সম্প্রতি এই পরিস্তিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় এরই মধ্যে সংস্কার কাজের জন্য সাময়িক ভাবে বিমান উঠানামা বন্ধ থাকায় বেশ অসুবিধার দেখা দিয়েছে। অবশ্যে এই বিষয়ে অসুবিধা নিরসনে দিনের বেলা বেশি ফ্লাইট পরিচালানর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান কতৃপক্ষ।