Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Sports / লিপুকে প্রধান নির্বাচক নিয়োগ, অভিমানে ফেটে পড়লেন সুজন

লিপুকে প্রধান নির্বাচক নিয়োগ, অভিমানে ফেটে পড়লেন সুজন

গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে প্রধান নির্বাচক পদে নিয়োগ দিয়ে চমকে দিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। লিপুর বিচক্ষণতা নিয়ে প্রশ্ন না উঠলেও, ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত ছিলেন না বলে তার কাছে ‘আশ্চর্যজনক’। এই পদে থাকা তার জন্য প্রয়োজনীয় কি না সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

হাবিবুল বাশার সুমনকে প্রধান নির্বাচক করা হবে বলে আশা করছেন সাবেক এই অধিনায়ক।

সোমবার বিসিবির বোর্ড সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। চমক হিসেবে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর জায়গায় বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক লিপুককে প্রধান নির্বাচক করা হয়। 63 বছর বয়সী লিপুর, যিনি একসময় বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেট ব্যবস্থাপনা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, মিডিয়া থেকে সুজনের নিয়োগের কথা জানতে পেরেছিলেন।

তিনি বোর্ডের পরিচালক হলেও সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সুজন। বিপিএলের ঢাকা দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চট্টগ্রামে রয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার সেখানে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, লিপু ভাই নির্বাচক হতে পারেন এমন কিছু আগে শুনিনি। চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত এসেছে বিসিবি থেকে। আমি ছিলাম না, বলতে পারব না।

তার ক্রিকেটীয় প্রতিভা, বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না, কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। কিন্তু এটা আমার জন্য খুবই আশ্চর্যজনক ছিল। নাম শুনি নাই। অনেক নাম বাতাসে ভাসছিল, গুঞ্জন ছিল। এটা আমার জন্য বিস্ময়কর কারণ আমি ক্রিকেট অপারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং আমি জানি না। এটা আমাকে অনেক অবাক করেছে।

দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলে দেশ ও আবাহনীকে নেতৃত্ব দেওয়া সুজনের লিপুর মেধা ও যোগ্যতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এর মধ্যে দীর্ঘ ব্যবধান তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

টানা আট বছর নান্নুর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে কাজ করেছেন হাবিবুল বাশার সুমন। নান্নুর পরিবর্তে সুজন প্রধান নির্বাচক হবেন, হ্যাঁ আমি সুমনকে আশা করেছিলাম। কেন, যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বা ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন তারাই বলতে পারবেন।

আমি অবশ্যই সুমনকে যোগ্য মনে করি। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন সফল অধিনায়ক, একজন সফল ক্রিকেটার। এত বছর দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। আমি আশা করেছিলাম নান্নু ভাইকে ধরে না রাখলে প্রধান নির্বাচক হবেন। বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্তকে আমাদের সম্মান করতে হবে।

জাতীয় দল নির্বাচন কমিটি ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধীনে কাজ করে। সেই বিভাগেও ভাইস চেয়ারম্যানের পদে আছেন সুজন। কিন্তু বাছাইয়ের কাজ নিয়ে তিনি সম্পূর্ণ অন্ধকারে থাকায় এই পদে থাকার প্রয়োজন আছে কি না তিনি বুঝতে পারছেন না, আমি কিছু জানি না বলে সাফ জানিয়ে দিলাম।

আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান, আমি জানি না ক্রিকেট অপারেশন নির্বাচক কে নিয়োগ দিচ্ছে। খুবই আশ্চর্যজনক. আমি এমনকি জানি না আমার এই অবস্থানে থাকার প্রয়োজন আছে কিনা।

২০১৩ সালের বিসিবি নির্বাচনে খেলোয়াড় কোটা থেকে পরিচালক পদে লড়েছিলেন সুজন ও লিপু। সেবার লিপুকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বোর্ডের পরিচালক হলেন সুজন।

About Zahid Hasan

Check Also

ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর মুখ খুললেন সাকিব

ছাত্র আন্দোলনের সময় নীরবতা পালন করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন দেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *