সাকিব আল হাসান সময়ের ডাক শুনতে পান।। কখন ফরোয়ার্ড খেলতে হবে, আর কখন ব্যাকফুটে খেলতে হবে; তিনি এটা ভাল জানেন. এ কারণে সময়মতো সিদ্ধান্ত নিতে তার সমস্যা হয় না।
দেশের স্বার্থে বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের নেতৃত্ব যেমন নিয়েছিলেন, তেমন ছেড়েও দিয়েছেন। কারণ সাকিব এখন শুধু একজন ক্রিকেটারই নন, একজন জাতীয় রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীও। সেগুলো সামলে পুরোপুরি খেলায় মনোযোগ দেওয়া সত্যিই কঠিন তাঁর জন্য। সেখানে অধিনায়কের বাড়তি চাপ নেওয়ার মানসিকতাও নেই। তিনি চান স্বাধীনভাবে বেছে বেছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যেতে। তবে এ মুহূর্তে তিন সংস্করণের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার বড় কারণ সাকিবের চোখের সমস্যা।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে ব্যাটিংটা ঠিকঠাক করতে পারছেন না। বিপিএলের প্রথম দিকে সংগ্রাম করলেও ঢাকার দ্বিতীয় পর্ব থেকে রান পাচ্ছেন। টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য পুরোপুরি ফিট হতে চান বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলছেন না তিনি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে এ সিদ্ধান্ত জানান সোমবারের পরিচালনা পর্ষদের সভার আগে।
সাকিবকে বাদ দিয়ে লঙ্কানদের বিপক্ষে হোম সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দেশের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়, নিউজিল্যান্ডে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জয় করা দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। । আসলে সাকিবই শান্তকে নেতৃত্বে ফেরার পথ করে দিয়েছেন নিজেকে সরিয়ে নিয়ে।