সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা মূলক বক্তব্য দিয়ে রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেশ আলোচনায় রয়েছেন সাইফুল ইসলাম যুবরাজ নামে এক আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে এসেছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক।
মেহেরপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে প্রকাশ্যে একবারের জায়গায় তিনবার ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রীতিমতো বেশ আলোচনায় রয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘ভোট ওপেন দেবেন, একবারের জায়গায় তিনবার দেবেন। প্রিজাইডিং,পোলিং কর্মকর্তা ও পুলিশের এতে কিছুই করার নেই। মন্ত্রী,এমপি,আমি আছি ভয় কি?’।
তার এমন বক্তব্যের কারণে নির্বাচনে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন অন্য প্রার্থীরা। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস নির্বাচন কর্মকর্তার।
শনিবার মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেলবার হোসেনের পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে কর্মী সভায় এমন বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক।
তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের দখল ও নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেবেন। নৌকা ছাড়া চেয়ারম্যান অন্য প্রার্থীদের এজেন্টদের কষ্ট করে ভোট কেন্দ্রে আসার দরকার নেই। মনে রাখবেন আমাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও আমি উপজেলা চেয়ারম্যান আছি।’
এম এ খালেকের এমন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। তবে তার বক্তব্যের দায় নিতে রাজি নয় জেলা আওয়ামী লীগ।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা গোলাম রসুল বলেন, ‘তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা সম্পুর্ণ তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। এটা কোন দলেন বক্তব্য নয়। সরকার চাই সুষ্ঠু সুন্দরভাবে ভোট হোক। যে যার ভোট যাকে খুশি তাকে দিবে। পদে থেকে তিনি এ কথা বলতে পারে না। সে কেন বলেছে, কিভাবে বলেছে সেটা সর্ম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত বিষয়।’
এদিকে এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আনছারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তবে এদিকে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকাজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।