Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Entertainment / আহমেদ রুবেলের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জয়া আহসান

আহমেদ রুবেলের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জয়া আহসান

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুই পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আহমেদ রেজা রুবেল। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে অজ্ঞান হয়ে পড়েন এই অভিনেতা। সেখান থেকে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে রুবেলের মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনেতার শেষ ছবি ‘পেয়ারার সুবাস’-এ একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দুজন। নুরুল আলম আতিক প্রযোজিত নতুন এই ছবি দুদিন পর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।

ছবিটির মুক্তি উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় বসুন্ধরায় ছিল ‘পেয়ারা সুবাস’-এর বিশেষ প্রদর্শনী। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা আহমেদ রুবেল। এই প্রদর্শনীতে অংশ নিতে তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে উত্তরা থেকে রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে যান। কিন্তু তার শেষ সিনেমা দেখার সুযোগ হয়নি এই অভিনেতার। তার আগেই মৃত্যুর খবর এল।

সহকর্মীকে হারিয়ে প্রিমিয়ার শোতে কান্নায় ভেঙে পড়েন জয়া। রুবেলের মৃত্যু কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। কারণ আজ (বুধবার) তাদের একসঙ্গে এই সিনেমা উপভোগ করার কথা ছিল।

জয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে কী বলবো! বলার কিছুই নেই। বিশ্বাস হচ্ছে না, মনে হচ্ছে ওনার কাছে ছুটে যাই। স্ক্রিনে আবার তাকে দেখি। পরপর আমার দুটি কাজ ‘অলাতচক্র’ এবং ‘পেয়ারার সুবাস’-এ সহ-অভিনেতা তিনি। এই মুহূর্তে কিছু বলার মতো স্টেজে আমি নেই, কেউ নেই।’

রুবেলের মৃত্যু কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছেন না জয়া। অভিনেত্রীর কথায়, আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে রুবেল ভাই চলে গেছেন। আমার মনে হয়, রুবেল ভাই থাকলে তিনি আমাদের শো বাতিল করতে চাইতেন না। মানুষ তার কাজ দিয়ে বাঁচে। রুবেল ভাইও আমাদের মাঝে আছেন। শো চলবে। এটা আমাদের শিল্পীদের জীবনের একটা ভয়াবহ অংশ।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবার মৃত্যুর দিনটির কথা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার দিন আমি কলকাতায় ছিলাম। আমার প্রথম বাংলা সিনেমার শুটিং। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে শুটিং করছিলাম। শুটিং শেষে মাত্র দুটি দৃশ্যের শুটিং বাকি ছিল। আমি কাঁদতে কাঁদতে পরিচালককে জিজ্ঞেস করছিলাম কী করব? আমি কি শুটিং শেষ করব? এমনই আমাদের শিল্পীদের জীবন।

আহমেদ রুবেল ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আয়েশ উদ্দিন। নানার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ইসলামপুরে। বাবা-মায়ের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে হলেও ছোটবেলা থেকেই তিনি ঢাকায় বেড়ে ওঠেন।

আহমেদ রুবেলের অভিনয় প্রতিভা ঢাকার অন্যতম নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ থেকে। তার প্রথম টিভি নাটক ছিল ‘স্বপ্নযাত্রা’। এটি নির্মাণ করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এরপর হুমায়ূন আহমেদের ঈদের নাটক ‘পোকা’তে অভিনয় করেন। এতে ‘ঘোড়া মজিদ’ চরিত্রটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি নাটক হলো- ‘অথীথি’, ‘নীল তোয়ালে’, ‘বিশেষ ঘোষণা’, ‘প্রতিদান’, ‘নবাব গুন্ডা’, ‘এফএনএফ’ ইত্যাদি।

আহমেদ রুবেল ১৯৯৩ সালে ‘আখেরি হামলাম’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালি পর্দায় পা রাখেন। এরপর তিনি ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘গেরিলা’, ‘দ্য লাস্ট টেগোর’, ‘শ্যামল ছায়া’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

About Nasimul Islam

Check Also

অবশেষে তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীর সেই আলোচিত ছবি নিয়ে মুখ খুললেন ওমর সানী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সঙ্গে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *