বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও গনতান্ত্রিক দেশ। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে পাক বাহিনীর হাত থেকে বিজয় লাভ করে বাংলাদেশ। তবে এই স্বাধীনতা অর্জনে বাংলাদেশের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। দেশের স্বাধীনতার জন্য অনেকেই যুদ্ধ করেছে। সকল যোদ্ধাদেরকেই সম্মান করে বাংলাদেশ। এবং এই মুক্তিযোদ্ধাদের নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে সরকার। সম্প্রতি এই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে দলেরই হোক না কেন সবাই প্রকৃত সম্মান পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেওয়া সকলের কর্তব্য।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২১ উপলক্ষে রবিবার সকালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেওয়া সবার কর্তব্য এমন জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতে ভয় পেতেন। ৭৫ পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সামনে নিয়ে আসা হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত হয়।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্বে রয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়নের পাশাপশি দেশ স্বাধীনতায় অগ্রনী ভূমিকা পালনকারী যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ ভাবে কাজ করছেন। এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদান করছেন নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা রাজনৈতিক মাঠে যে দলেরই হোক সকলেই সম্মান পাবে।