ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে নূরে আলম (২৩) নামে এক কলেজ ছাত্রকে আসামি করে ভোলা সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, বরিশাল ব্রজমোহন (বি.এম) কলেজের শিক্ষার্থী নুরে আলম ভুক্তভোগী ছাত্রীর পাশ্ববর্তী বাসিন্দা। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীর সঙ্গে নুরে আলমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নুরে আলম তাকে ধ*র্ষণ করে। ধ*র্ষণে ওই ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। স্বজনরা তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে ভুক্তভোগীর কাছে এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী পুরো ঘটনা স্বজনদের জানায়৷ এরপর স্বজনরা স্থানীয়ভাবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিয়েতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাজি না হওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত ছাত্র নূরে আলম আত্মগোপনে চলে যায়। তার মা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তার ছেলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ছেলের উপর এ ঘটনার দায় চাপানো হচ্ছে। পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ছোটন জানান, ঘটনার বিষয়ে নির্যাতিতার মা তার কাছে যান। এ ঘটনায় অভিযুক্তের পরিবারকে ফোন করেন তিনি। কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিয়া জানান, এ ঘটনায় নুর আলমকে আসামি করে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টের পর নবাগত শিশুটির বাবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।