বিশ্বের বৃহত্তম গনতান্ত্রিক দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ভারত। বর্তমান সময়ে দেশটির সরকারর দায়িত্ব পালন করছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি টানা দুই মেয়াদে দেশটির সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে সম্প্রতি সময়ে বেশ কিছু কর্মকান্ডের জের ধরে তিনি ব্যপক সমালোচিত হয়েছেন। বিশেষ করে দেশটিতে তিনি কৃষি আইন সংস্কার করেছেন। এক্ষেত্রে ৩ টি আইনকে ঘিরে বেহস বির্তকিত হয়েছে। এরি লক্ষ্যে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলেন ছিল দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের কৃষকেরা। অবশেষে ভারত সরকার নিজের সিদ্ধান্ত বদলালেন। এবং হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।
বিতর্কিত ৩ কৃষি বিল নিয়ে কৃষক-অসন্তোষের জের ধরে শুক্রবার জনসমক্ষে এসে দুই হাত জোড় করে মাফ চাইলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি জানান, আসন্ন পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনে ঐ তিন কৃষি বিল বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেইসঙ্গে সবকিছু ‘নতুনভাবে শুরু করতে’ আন্দোলনরত কৃষকদের ঘরে ফেরার আহ্বানও জানান তিনি। তবে ক্ষমতায় আসার পর এটিই মোদির প্রথম হাতজোড় করে মাফ চাওয়া নয়। এর আগে গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় লকডাউন দেয়ার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেন, এই কঠিন পদক্ষেপ আপনাদের জীবনে অনেক সমস্যা ডেকে এনেছে। বিশেষ করে গরিব মানুষের। তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। জানি আপনাদের মধ্যে কিছু মানুষ আমার এই সিদ্ধান্তে অখুশি হয়েছিলেন। কিন্তু এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে এই সিদ্ধান্ত নিতেই হতো।
অবশ্য ক/রো/না/র সময় মাফ চাওয়ার প্রেক্ষিতটির চেয়ে বর্তমান প্রেক্ষিতটি অনেক বেশি রাজনৈতিক। কেননা ইতোপূর্বে কৃষক আন্দোলনে বিজেপি নেতাদেরকে কৃষক-বিরোধী উত্তপ্ত বক্তব্য দিতে ও প্রশাসনকে হার্ডলাইনে যেতে দেখা গেছে। প্রা/ণও গেছে কয়েকশ’ কৃষকের। তাই অনড় অবস্থান ভেঙে কৃষকদের দাবি মেনে নিয়ে মাফ চাওয়াকেও মানা হচ্ছে আগেরবারের চেয়ে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী বছরের শুরুতেই পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। মূলত কৃষকদের ভোট পেতেই সরকারের এই কৌশল। যেহেতু কৃষক আন্দোলনও ঘনীভূত হয়েছে মূলত পাঞ্জাবেই, সেহেতু পাঞ্জাবের প্রবাদপুরুষ গুরু নানকের জন্মদিনকেই হাতজোড়ের মোক্ষম সুযোগ হিসেবেই নিয়েছেন তিনি, এমন অভিমত উল্লিখিত হয়েছে আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে।
অবশ্যে কৃষি আইনের আগেও তিনি নাগরিক্ত আইন এবং জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যেশাসিত করে বেশ বির্তকের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তবে সকল বর্তকের মধ্যে দিয়ঐ তিনি নাগরিকত্ব এবং জম্মু-কাশ্মীরের আইন পরিবর্তন করেছেন। তবে এই নিয়ে এখনও বেশ বির্তক রয়েছে।