সম্প্রতি দেশে কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি কর্তব্য পালনকালে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা আক্রান্ত হলে বা প্রাণ হারালে তাদের ন্যায় বিচার পাওয়াটা যেন ভাগ্যের ব্যাপার।যার প্রমাণ সাংবাদিক সাগর- রুনি হ/ত্যাকাণ্ড। তার প্রাণনাশের তদন্তের বিষয় যেন হাস্যকর বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বার বার পেছানের হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তদন্ত কাজ চলচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
সাগর- রুনি ২০১২ সালে নৃ/শংসভাবে খু/ন হন। এর তদন্ত গত ১২ বছরেও শেষ হয়নি। আইনমন্ত্রী বলেছেন যে এর সঠিক তদন্তের জন্য প্রয়োজনে আরো ৫০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
সাগর রুনির হ/ত্যার তদন্ত হতে তাহলে ৫০+১২= ৬২ বছর লাগতে পারে। বিচার হতে নিশ্চয়ই তাহলে অন্তত আরো ৩ বছর লাগবে। হ/ত্যাকারীর বয়স যদি ২০ হয় তাহলে তার বয়েস হবে ৮৫, আর ৩০ হলে ৯৫। আইনমন্ত্রীর নিজের বয়েস হবে কমপক্ষে ১৩৫। সাগর রুনির কলিগ আর বন্ধু বান্ধবদের বয়েস হবে ১০০-এর কাছাকাছি।
এই বিচার তাহলে আমাদের জীবদ্দশায় হবে না বলা যায়। হ/ত্যাকারীরাও ততোদিনে মা/রা যাবেন।
আমার তাহলে একটা প্রশ্ন আছে। মির্জা ফখরুলরা না/শকতা করেছেন এটি পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বলে দেয়। সাগর-রুনির হত্যাকারীদের ক্ষেত্রে কয়েক হাজার গুন বেশী সময় লাগছে কেন?