নিখোঁজের প্রায় দেড় মাস হতে চললেও এখনো খোঁজ মেলেনি সেই কলেজ শিক্ষার্থী হাসান ইসলামের (২১)। ফলে রীতিমতো তাকে নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন পরিবার-পরিজন। জানা জায়, মামাতো বোনের বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন হাসান, আর এরপর থেকেই তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ হাসান নিয়ামতপুর উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের খোর্দ্দচম্পা গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে এবং নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। নিখোঁজের বাবা মোজাফফর হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন গত ১৬ নভেম্বর। নিখোঁজের ৪২ দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ হাসান ইসলামের পরিবারের দাবি নিখোঁজের নেপথ্যে তার মামা একই গ্রামের মইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে।
নিখোঁজের বাবা মোজাফফর হোসেন বলেন, আমার ছেলে নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করে। হঠাৎ সে মামার বাড়িতে যাতায়াতের কারণে মামীর সাথে সম্পর্ক হয়ে যায়। সেই সম্পর্ককে ধামাপাচা দেয়ার জন্য আমার ছেলেকে ব্রেন ওয়াস করে মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করে তার নাবালিকা মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়। আমরা ওই বিষয়টি মেনে না নেয়ায় তারা আমার ছেলেকে অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার ছেলের মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করায় তাকে চিকিৎসা করিয়ে কিছুটা সুস্থ্য করে তুলেছিলাম। কিছুটা সুস্থ্য হওয়ায় গত ১০ অক্টোবর বিকেল ৪টায় তার বোনের বাসা উপজেলার গাবতলী যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর আসেনি।
নিখোঁজের মা রোবেদা বেগম বলেন, আমার ভাই মইনুল ইসলাম তার নাবালিকা মেয়ে মনিরা খাতুনের (১৩) সাথে আমার ছেলে হাসান ইসলামের বিয়ে দেয়। মনিরা কাপাষ্টিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও আমাদের অমতে ছেলের মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করে গত ১৩ জুন নওগাঁ জজ কোর্টে বিয়ে দেয়। তখন থেকেই ছেলের মানসিক সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায় এবং ১০ অক্টোবর নিখোঁজ হয়।
এ ঘটনায় নিখোঁজের মামা অভিযুক্ত মইনুদ্দিনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে নিয়ামতপুর থানার ওসি হুমায়ন কবির জানিয়েছেন, এ ঘটনায় এরই মধ্যে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। আর এর আলোকে তদন্ত চালিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।