সুখবর, দুই বছর আগে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি ইংরেজি দৈনিক আরব নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা আল-দুহাইলান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সৌদি আরব সরকার বাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকের মধ্যে মাত্র কয়েক ডজন চিকিৎসক রয়েছেন। এর আগে ২০২২ সালে সৌদি আরবে বাংলাদেশি চিকিৎসক নিয়োগের জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরে গত বছরের নভেম্বরে একদল বাংলাদেশি চিকিৎসক সৌদি আরবে যান।
আরব নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত ইসা আল-দুহাইলান বলেন, “সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে কোনো মেডিকেল কর্মী নিয়োগ করেনি। কিন্তু এখন আমরা তাদের নিয়োগ শুরু করেছি। কারণ তারা ইতিমধ্যে আমাদের মানদণ্ডে পৌঁছেছে।’’
প্রথম গ্রুপে প্রায় ৬০ জনের মতো চিকিৎসা কর্মী ছিলেন। রাষ্ট্রদূত সৌদিতে বাংলাদেশি চিকিৎসাকর্মীদের এই নিয়োগকে কেবল শুরু বলে মন্তব্য করেছেন।
শুক্রবার আরব নিউজে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘এই সংখ্যা ইনশাআল্লাহ, অদূর ভবিষ্যতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে… এটা কেবল বাজারকে শুরু করার প্রক্রিয়া এবং কেমন চলে তা দেখার জন্য।’’
তিনি বলেন, সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল গত বছর দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছে। আরো চিকিৎসা কর্মী নিয়োগের জন্য তারা বাংলাদেশ সফর অব্যাহত রাখবে। সৌদি আরবে রওনা হওয়া পরবর্তী দলের মধ্যে নার্সরা থাকবেন।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল আলম বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ আমাদের দেড় শতাধিক প্রশিক্ষিত নার্স পাঠাতে বলেছে। আমাদের মন্ত্রণালয় এখন শর্তগুলো যাচাই-বাছাই করছে। যেমন বাংলাদেশি নার্সদের কোথায় নিয়োগ দেওয়া হবে, তারা সরকারি হাসপাতাল বা বেসরকারি স্বাস্থ্য সুবিধায় নিয়োগ পাবে কি না, ইত্যাদি।
তিনি আরব নিউজকে বলেন, যেহেতু এটি একটি নতুন সেক্টর, তাই সরকার এখন চিকিৎসক নিয়োগের ব্যবস্থা করছে। খায়রুল আলম বলেন, আমরা সৌদি আরবকে সর্বশেষ এই পদক্ষেপ— বাংলাদেশি স্বাস্থ্য খাতের কর্মী নিয়োগের জন্য স্বাগত জানাই। আমাদের অভিবাসীদের অন্যতম মূল গন্তব্য হলো সৌদি। এই সুযোগ আরও বাড়ানোর পথ রয়েছে।
তিনি বলেন, এ জন্য বিস্তারিত নিয়োগ নীতিমালা তৈরি করা হবে। বাংলাদেশের ১০০টিরও বেশি মেডিকেল কলেজ প্রচুর সংখ্যক প্রত্যয়িত ডাক্তার, নার্স এবং চিকিৎসা কর্মী তৈরি করে। তারাও উন্নতমানের যন্ত্রপাতি নিয়ে সৌদিতে কাজ করে অনেক কিছু শিখতেও পারবেন।